প্রত্যেক মাতা-পিতারাই একান্ত কামনা তার সন্তান সুশিক্ষিত এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠক। নিজের পরিবার, দেশ ও জাতি গঠনে বিরাট ভূমিকা পালন করুক। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পিতা-মাতা আখাংকা অপূর্ণ থেকে যায়। তার অন্যতম প্রধান কারণ সন্তানদের সৎ যোগ্য ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যোগপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথেষ্ট অভাব। প্রতিটি মানব শিশুর প্রধানমন্ত্রী সুপ্ত প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে যথাযথভাবে বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং যুগোপযোগী কারিকুলাম ও সিলেবাস। কিন্তু আমাদের সমাজে এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সঠিক পরিচর্যা ও মানসম্পন্ন শিক্ষার অভাবে অনেক সম্ভাবনাময় শিশু-কিশোরের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জন্য চাই স্বাস্থ্যসম্মত মনোরম পরিবেশ, প্রশান্তর ক্যাম্পাস খেলাধুলাসহ সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম এর সুযোগ সুবিধা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকমন্ডলী। মানসম্পন্ন শিক্ষা বলতে যুগোপযোগী কারিকুলাম ও সিলেবাস শিশুর মত বিজ্ঞানের আলোকে সহজ পাঠদান পদ্ধতি, নিবিড় পরিচর্যা, ধারাবাহিক মূল্যায়ন, পাঠ পরিকল্পনার আলোকে শ্রেণিকক্ষ নির্ভর পাঠদান পদ্ধতি বুঝায়। এসকল বৈশিষ্ট্যের আলোকে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অত্র এলাকায় গড়ে না উঠায় দীর্ঘদিন যাবৎ সচেতন অভিভাবক মহল নিজেদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার ব্যাপারে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন। অভিভাবকের দীর্ঘদিনের চাহিদা ও এলাকার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই অত্র এলাকায় কৃতি সন্তান বিশিষ্ট দানবীর আলহাজ্ব আজিম আলী সাহেবের সার্বিক সহযোগিতায় এবং অভিজ্ঞ পরিচালকমণ্ডলীর দক্ষ পরিচালনায় উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে ১997 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আজিম আলী কে জি এন্ড গার্লস হাই স্কুল। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামকরণ করা হয় আজিম-হাকিম স্কুল এন্ড কলেজ। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানী এবং অভিভাবকদের আন্তরিক সহযোগিতায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিষ্ঠান অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্মুখপানে এগিয়ে যাচ্ছে। ধারাবাহিক পথ পরিক্রমার অংশ হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে হাই স্কুল চালু এবং পর্যায়ক্রমে কলেজ পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।